In Intelligentsia School and College (ISC), everybody has their definite duties and responsibilities. All have to follow their respecctive duties and responsibilities. These are very easy and related to their professional life. Some of the duties are posted as follows so that the concerned person can download, print, read and perform their duties accordingly:
01. Duties of the Class Teachers/শ্রেণিশিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য ( To download)
শ্রেণি শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য
একজন ক্লাস টিচার সংশ্লিষ্ট ক্লাসের দায়িত্বশীল অভিভাবক। ক্লাসের সকল ছাত্র-ছাত্রীকে বুদ্ধি-বিচক্ষণতার সাথে পরিচালিত করে কাঙ্খিত ফলাফলের জন্য সঠিকভাবে গড়ে তোলা। তাদের ব্যক্তিগত সুবিধা-অসুবিধা, পারিবারিক অবস্থা ও পড়াশুনার প্রতিবন্ধকতা ইত্যাদি সম্পর্কে জানা; সে অনুযায়ী সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা এবং সার্বক্ষণিক পরিচর্যার মধ্যে রাখা।
মৌলিকভাবে নিচের বিষয়গুলো সম্পর্কে তৎপর থাকাঃ
১. শিক্ষার্থী সম্পর্কে তথ্যঃ
সংশ্লিষ্ট ক্লাসের শিক্ষার্থীর সম্ভাব্য সকল তথ্য জানা যেমন, নাম, রোল, পড়ালেখার মান, মেধাগত অবস্থা, সহপাঠীদের সাথে আচরণ, সার্বিক আচার-আচরণ, পরিষ্কার, পরিচ্ছন্নতা, হাতের লেখার অবস্থা, পড়া ও লেখা-এ দুটির মাঝে সমন্বয়, বাসার ঠিকানা, কন্টাক্ট নাম্বার, বাসার পড়ার পরিবেশ, পরিবারের আর্থিক অবস্থা, বাবা-মার পেশা, ভাই-বোনের সংখ্যা ইত্যাদি সম্পর্কে পূর্ণ তথ্য রাখা।
২. ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ম শৃঙ্খলার প্রতি অভ্যস্ত করে তোলাঃ
ছাত্র-ছাত্রীদের সম্ভাব্য সকল তথ্য সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়ার পর একজন শিক্ষকের পরবর্তী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ম শৃঙ্খলার প্রতি কঠোর ও আপোসহীন ভাবে গড়ে তোলা। নিয়ম শৃঙ্খলার যথাযথ প্রয়োগই একটি প্রতিষ্ঠানকে উচ্চতার শিখরে নিয়ে যায়। নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে সঠিক সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে আগমন ও প্রস্থান, স্কুল কর্র্তৃক নির্ধারিত ইউনিফরম-পোশাক পরিচ্ছদ, জুতা, (কোনো অবস্থাতেই স্যান্ডেল গ্রহণযোগ্য নয়) আইডি কার্ড পরিধান, চুল, দাঁত, নখ, পোশাক পরিচ্ছেদ যাবতীয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নাতার প্রতি মনোনিবেশ, ছেলেদের “ইন করা” ইত্যাদি বিষয়ে ক্লাস রুমে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে লক্ষ্য করতে হবে। যদিও এই বিষয়গুলো পিটি/অ্যাসাম্বেলি করার সময় বিশেষভাবে চেক করা হয়। কিন্তু এই বিষয়গুলো অনুসরণ না করার জন্য সংশ্লিষ্ট ক্লাসের শ্রেণি শিক্ষকই বিশেষভাবে দায়ী বলে মনে করা হয় । বিশেষ কারণ ছাড়া এগুলোর কোন ব্যাপারে কোন অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া যাবে না।
৩. সংশ্লিষ্ট অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগঃ
সংশ্লিষ্ট ক্লাসের শিক্ষার্থী সম্পর্কে তথ্য জানার জন্য এবং কোনো শিক্ষার্থীর সমস্যা পরিলক্ষিত হলে তা সমাধানের জন্য অন্য যে সমস্ত শিক্ষকবৃন্দ ক্লাস নেন (বিষয় শিক্ষক) তাদের সাথে যোগাযোগ রাখা, পরামর্শ নেওয়া এবং প্রয়োজনে সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্ট চালানো।
৪. অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগঃ
অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ রাখা, পরামর্শ নেওয়া এবং পরামর্শ দেওয়া। একজন ক্লাস টিচার হিসেবে অভিভাবকের পূর্ণ আস্থা অর্জন করা এবং একই সাথে অত্র প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি তুলে ধরা।
৫. কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগঃ
ছাত্র-ছাত্রীর জ্ঞাত তথ্য এবং সার্বিক মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে সমস্ত প্রতিবন্ধকতা আছে, সেগুলো নিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে মাঝে মাঝে মতবিনিময় ও পরামর্শ গ্রহণ করা।
অতএব, একজন দায়িত্বশীল শ্রেণিশিক্ষক হিসেবে আমরা আমাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারলে নিজের ও প্রতিষ্ঠান উভয়ের অগ্রগতি অবশ্যম্ভাবী।